2
বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই এই যুদ্ধ নতুন মোড় নিচ্ছে। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। ওয়াশিংটন শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বেইজিংও পাল্টা শুল্ক চাপাচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় নেয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ওয়াশিংটন।
এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে (২ এপ্রিল) বিশ্বের বহু দেশের পাশাপাশি চীনা পণ্যের ওপর আরও একবার ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। চীন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। এতে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে।
এরপরও থামেননি ট্রাম্প। আরও এক দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়।
পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। দেশটির কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৪ নয়, এবার থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে।
জবাবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ১০০ শতাংশ বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে চীনা পণ্য এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখোমুখি হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (দায়িত্ব নেয়ার পর) প্রথম দিনেই আমেরিকার অর্থনীতিকে আরও উন্নত করার জন্য ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতি চালু করেন।’
৭৫টিরে বেশি দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭৫ টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছে। ফলস্বরূপ এই আলোচনার মধ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তবে চীন বাদে। কারণ তারা প্রতিশোধ নিয়েছে।’ https://www.somoynews.tv/news/2025-04-16/B4BHxDPy