দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক খাতের শেয়ারে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ব্যাংক খাতে ১৭১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দৈনিক লেনদেন ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। এ খাতে সোমবার ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, মঙ্গলবার ১৩১ কোটি ১৬ লাখ, বুধবার ১০৫ কোটি ৬৪ লাখ ও গতকাল ১৭১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল ব্যাংক খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৩২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ডিএসইর মোট লেনদেনে যার অবদান ১৬ শতাংশ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বেলা ১১টার দিকে কিছুটা নিম্নমুখিতা দেখা গেলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সূচকের সামান্য নিম্নমুখিতা দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে সামান্য কমে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক, ফরচুন সুজ, সাউথইস্ট ব্যাংক ও সাইফ পাওয়ারের শেয়ারের।
ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২১০টির, কমেছে ১৪০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে ছিল প্রকৌশল খাতের। ১২ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। আর সাধারণ বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে ভ্রমণ, পাট, সেবা ও চামড়া খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। আর নেতিবাচক রিটার্ন হয়েছে সিরামিক, কাগজ, প্রযুক্তি ও বিবিধ খাতের।
অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী ছিল। নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১০ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১২০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৮ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ১২০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
Source: bonikbarta