নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন যাবত শেয়ারবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। চলতি সপ্তাহে মন্দাভাব আরও গভীরতর হয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪ পয়েন্টের বেশি। এদিন শেয়ারবাজারে যতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার পতনের ধাক্কা আরও বড় হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২০ পয়েন্টের বেশি। পতনের ধাক্কায় এদিন তালিকাভুক্ত ৪১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের দর। পতনের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর বেশিরভাই শেষ বেলায় ক্রেতা সংকটে ভুগেতে দেখা গেছে।
আজ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে বাজারে ইতিবাচক ধারা দেখা গেলেও দিনের মধ্যভাগে ফের নেতিবাচক প্রবণতা ভর করে। আজও যতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, তার চেয়ে দেড়গুণ বেশি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। আর সূচক কমেছে সাড়ে ৬ পয়েন্টের বেশি। তবে শেষ দিকে সেল প্রেসারের চেয়ে বাই প্রেসার কিছুটা বেশি দেখা গেছে। যার ফলে পতনের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে। আজ ডিএসইর লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিএসইর প্রধান সূচক বর্তমানে ৬২০২.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ পতন ১০ পয়েন্টে ওঠার পর সেল প্রেসার অনেক কমে যায়। অর্থাৎ সেই সময়ে শেয়ারের যে দাম চলছিল, সেই দামে বিক্রেতারা শেয়ার ছাড়তে রাজি ছিল না। ফলে শেষ বেলায় সূচকের পতন কমে ৬ পয়েন্টের কিছু বেশিতে দাঁড়ায়। যা আগামীকাল (বুধবার) বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ বলে তাঁরা মনে করেন।
তাঁরা বলছেন, আজ লেনদেন হঠাৎ করে তিনশ কোটির নিচে নেমে গেছে। এর আগে গত ২৮ মার্চ, ২০২৩ তারিখে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল সর্বনিম্ন ২৭২ কোটি টাকা। যা পরেরদিনই বাজার ঘুরে গিয়েছিল। এরপর ১৭ আগস্ট ডিএসইর লেনদেনে ২৯২ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। তারপরের দিনও বাজার উঠে গিয়েছিল। এসব বিবেচনায় আগামীকাল বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, আগামীকাল বাজারের কিছুটা সাপোর্ট রয়েছে ৬১৯৬ পয়েন্টে। আর বড় সাপোর্ট রয়েছে ৬১৯০ পয়েন্টে।
source: sharenews24.com
sharebazar pujibazar dse cse improvement stockmarket