⬛ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কাজ বলে উল্লেখ করে সংস্থাটির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা মার্কেটে এসে সর্বস্বান্ত হয়ে চলে যাবেন এটা হবে না। এছাড়া, দেশের নীলফামারী, কুড়িগ্রামসহ অনেক জেলার বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে একেবারেই অংশগ্রহণ নেই। অংশগ্রহণ কম নারীদেরও। তাদেরকে বাজারে আনতে হবে। টেকসই অর্থনীতি গড়তে সমাজের পিছিয়েপড়াদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যবসার একমাত্র উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা হওয়া উচিত নয়। পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত। বিএসইসি কমিশনার বলেন, ব্যবসা যদি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য করতে হয়, তাহলে শুধু কাগজে সার্টিফিকেট দিয়ে তা টিকবে না। সভাপতির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে এসে কি দেখেন? তারা দেখেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিবেশ কেমন? এখানে কোম্পানিগুলোর গুড গর্ভনেন্স আছে কিনা? এসব দেখেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ভালো করতে, টেকসই করতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, বিনিয়োগ এখন রিস্কি হয়ে গেছে। বিনিয়োগ যদি আপনি সুরক্ষিত রাখতে না পারেন, তাহলে বিননিযোগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কোম্পানিগুলোতে গুড গর্ভনেন্সের অভাব রয়েছে। টেকসই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা।’ তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুদ্দিন এবং জিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক অদিতি হালদার।