দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। সেই সঙ্গে লেনদেন খরা প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন কী হচ্ছে পুঁজিবাজারে। টানা দরপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিন দিন পুঁজি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
বর্তমান পুঁজিবাজারের যে অবস্থা চলছে তাতে ২০১০ সালের চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বলে মনে করছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা। আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৪৫.৮০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৭৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৫৬.১৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১১৮.২৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৩০৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির বা ১৩.৭৩ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১০৫টির বা ৩৪.৩১ শতাংশের এবং ১৫৯টির বা ৫১.৯৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে আজ ৪০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯ কোটি ০৪ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪১৯ কোটি ০১ লাখ টাকা।
এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯.৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫২১.৬১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১৭.৪২ পয়েন্ট,সিএসই-৩০ সূচক ১৬.২৪ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২.০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭৭.৮৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪৩.০৭ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৪.৯১ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৭০.৬০ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে ১৫৯টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের। আজ সিএসইতে ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
source: deshprotikhon.com