রাজধানীতে ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড। এ লক্ষ্যে রাজধানীর কাকরাইলে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে জমি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট ভবনসহ ২৫ দশমিক ৩২ ডেসিমল জমি কেনা হবে। এতে রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১০১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১২৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ টাকা ৮৬ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে রেনাটার পর্ষদ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫১১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৪ টাকা ৫৬ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৮৭ পয়সায়।
২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়াহোল্ডারদের ১৪৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রেনাটা লিমিটেড। এর মধ্যে ১৪০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৫১১ কোটি ১০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে রেনাটার সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৭ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ টাকা ২২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৭৪ টাকা ৩৯ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল রেনাটা। এর মধ্যে ১৪৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৭ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪১ টাকা ১৭ পয়সা।
১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে আসা রেনাটা লিমিটেড ১৯৭২ সালে মার্কিন ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের মালিকানা বিক্রি করে চলে যায় এবং কোম্পানির নাম ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বদলে হয় রেনাটা লিমিটেড। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোম্পানিটির ওষুধ রফতানি হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
Source: https://bonikbarta.net/
Renata diagnostic investing investment land DSE CSE Stockmarket