তালিকাভুক্ত ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধনের ৬০ লাখ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। ২ জানুয়ারি এ শেয়ার বিও হিসাবে জমা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তথ্য অনুসারে, ওইমেক্স ইলেকট্রোডের পরিশোধিত মূলধন ছিল ৬৭ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটির এ মূলধন দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার জেও হোল্ডিংস লিমিটেড ৫৭ লাখ ৬০ হাজার, অপগেনহাফেন হোল্ডিংস লিমিটেড ১ লাখ ২০ হাজার, এনজে হোল্ডিংস লিমিটেড ১ লাখ ২০ হাজার শেয়ার নগদ টাকায় কিনেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওইমেক্স ইলেকট্রোডের কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮১২ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬২ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ২৮ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২ টাকা ৯২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ওইমেক্স ইলেকট্রোডের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৩৮ পয়সা।
সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ওইমেক্স ইলেকট্রোডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৩৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ২৯ পয়সা।
২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৭০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান ৪৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮১। এর মধ্যে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার ওইমেক্স ইলেকট্রোডের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল যথাক্রমে ২০ টাকা ৪০ পয়সা ও ২০ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা ও ২৮ টাকা ৫০ পয়সা।
source: bonikbarta.net
Oimex electrode 60lakh share BO account