নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাওয়া এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজকে তিন কোটি ১৫ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বিনিয়োগের বিপরীতে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে থাকা মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে নতুন এই শেয়ার ইস্যু করবে এমারাল্ড অয়েল। গতকাল এক চিঠিতে নতুন শেয়ার ইস্যুর এই অনুমোদন দিয়েছে এসইসি।
প্রায় ছয় বছর বন্ধ থাকার পর জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। জাপানি প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উৎপাদনে ফেরে মৃতপ্রায় এমারাল্ড। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর কমিশনের নির্দেশনায় সময়ে সময়ে এমারাল্ড অয়েলে ৩১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মিনোরি বাংলাদেশ। এই বিনিয়োগের বিপরীতে এমারাল্ড অয়েলকে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে এসইসি, যা মিনোরি বাংলাদেশের নামে ইস্যু করা হবে।
এসইসি জানিয়েছে, মিনোরি বাংলাদেশের নামে নতুন শেয়ার ইস্যুর আগে তা আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদন করে নিতে হবে। নতুন ইস্যু করা শেয়ার বরাদ্দের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের লক-ইন (বিক্রয় কিংবা হস্তান্তর নিষিদ্ধ) থাকবে।
বর্তমানে এমারাল্ড অয়েলের পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। নতুন শেয়ার যুক্ত হলে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকায় উন্নীত হবে।
মিনোরি বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে এমারাল্ড অয়েল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ হিসাববছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী হিসেবে ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরে এমারাল্ডের আয় আরও বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকেই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ২২ পয়সা।
এমারাল্ডের আয় আরও বাড়াতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে মিনোরি। সম্প্রতি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও মিনোরি বাংলাদেশের সঙ্গে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। চুক্তির ফলে যমুনা এডিবল অয়েলে চলতি মূলধন জোগান দেবে মিনোরি বাংলাদেশ। আর যমুনা এডিবল অয়েলের পরিচালনায় থাকবে এমারাল্ড অয়েল। এতে বছরে গড়ে ৯০০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি বাড়বে এমারাল্ড অয়েলের।
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কোম্পানিটির প্রধান উদ্যোক্তা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এমারেল্ড অয়েলের। এ কারণে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে টানা পাঁচ বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। মিনোরির তত্ত্বাবধানে কোম্পাধনিটি এখন ভালো আয় করতে শুরু করেছে।
মিনোরির নতুন বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে ফেরে এমারাল্ড অয়েল। কোম্পানিটির রাইস ব্র্যান তেলের দুটি ইউনিটের একটি সচল রয়েছে, যেখান থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় ৪৫ টন ক্রুড অয়েল উৎপাদন হচ্ছে।
Source: https://www.deshrupantor.com/
Emeraldoil share issue paid up increase