December 10, 2024 1:37 am
Home Stock Market কেবল সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নামানো যাবে কি?

কেবল সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নামানো যাবে কি?

by fstcap

stockmarket sharebazar pujibazar investment Bsec dse cse

কেবল সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নামানো যাবে কি?

ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য গত চার মাসের ব্যবধানে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ৯ থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশে ‍উন্নীত করা হয়েছে। যদিও দেশের গত ৪০ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করে, মূল্যস্ফীতি বাড়া-কমার সঙ্গে ব্যাংক ঋণের সুদহারের তেমন কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নব্বইয়ের দশকে দেশের ব্যাংকগুলোয় বাণিজ্যিক ঋণের সুদহার ছিল ১৮-২০ শতাংশ। ওই সময় দেশে গড় মূল্যস্ফীতিও ছিল দুই অংকের ঘরে। আবার ২০২০ সালে যখন ব্যাংক ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে বেঁধে দেয়া হয়, তখন মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ শতাংশের নিচে। অর্থাৎ দুই দশক আগে ব্যাংক ঋণ অনেক দামি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির অন্তত ৫০ শতাংশ এখনো ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে উন্নত দেশগুলোর মতো সুদহার বাড়িয়ে এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোপুরি সিন্ডিকেটনির্ভর। দুই-চারজন ব্যবসায়ী চাইলেই কারসাজির মাধ্যমে এখানে পণ্যের দাম বাড়াতে পারেন। আবার ঘুস-দুর্নীতির ভয়াবহতার কারণে বাজারে কালো টাকার দৌরাত্ম্যও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে সুদহার বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি মূল্যস্ফীতিকে আরো উস্কে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

১৯৮২ সালে বহুজাতিক ব্যাংক এএনজেড গ্রিন্ডলেজে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন আনিস এ খান। দীর্ঘ ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে প্রায় ১০ বছর বেসরকারি খাতের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। নিজের কর্মজীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে আনিস এ খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘১৯৮২-৮৩ সালে আমি এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ১৪-১৬ শতাংশ সুদে মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করেছি। ওই সময় চলতি মূলধন হিসেবে কস্ট অব ফান্ডের চেয়ে বেশি সুদে ঋণ দিয়েছি। এসএমইসহ অন্যান্য খাতে ঋণের সুদহার ছিল ১৭-১৮ শতাংশ। দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সুদহার ছিল এরচেয়েও বেশি। ওই সময় মূল্যস্ফীতির হারও ১২ শতাংশের বেশি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে আমি এটুকু বলতে পারি, ব্যাংক ঋণের সুদের ওপর আমাদের বাজার পরিস্থিতি নির্ভর করে না। সিন্ডিকেট, কারসাজি, কালো টাকার দৌরাত্ম্যসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রক্ষেপণও করা যায় না। কেবল সুদহার বাড়িয়ে এখানে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। এজন্য সব পক্ষকে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলার শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি আগামীতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। ফলে দেশের মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে দেশের ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার ছিল ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, ওই বছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক ঋণ অনেক ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতির হার ছিল দুই অংকের ঘরে। এরপর ১৯৯০ সালে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার বেড়ে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার কমে মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে। ১৯৯৫ সালে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার কমে ১২ দশমিক ২ শতাংশ হয়। বিপরীতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশে। এরপর ২০০০ সালে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার বেড়ে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশে উঠে যায়। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার কমে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নামে। অর্থাৎ অর্থনীতির কোনো তত্ত্ব অনুসরণ করে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বাড়েনি-কমেনি। গত চার দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে পরস্পরবিরোধী এমন চিত্রই দেখা গেছে।

গত এক দশকে দেশের মূল্যস্ফীতির চরিত্রও প্রায় একই সমান্তরালে চলেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু ওই সময় গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। পাঁচ বছর পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এলেও মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তার মানে ব্যাংক ঋণের সর্বনিম্ন সুদ সত্ত্বেও ওই বছর মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতি উস্কে উঠে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরীও মনে করেন, কেবল সুদহার বাড়িয়ে বাংলাদেশের মতো দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এখানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক এ মহাপরিচালক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোয় সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কেউ চাইলেই ওইসব দেশে পণ্যের দামে কারসাজি করতে পারে না। সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের দেশে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। এখানে সহজেই যেকোনো পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি করা যায়। নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের সরবরাহ হঠাৎ করেই কমে যায়। এ কারণে কেবল নীতি সুদহার বাড়িয়ে এখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের সব পক্ষকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’

২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকেই দেশের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে দেশের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে এলেও সেটির হার ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগস্টে মূল্যস্ফীতির এ হার ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। যদিও এক বছর আগে দেউলিয়ার মুখে পড়া শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি এখন ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মূল্যস্ফীতিও ৫ শতাংশের ঘরে।

চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গত ৪ অক্টোবর নীতি সুদহার বা রেপো রেট এক ধাক্কায় দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে রেপো রেট ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। নীতি সুদহারে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো টাকা ধার নেয়। সুদহার বাড়ানোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশি সুদে অর্থ ধার করতে হচ্ছে।

অর্থের সরবরাহ কমানোর কথা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এরই মধ্যে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। সুদহার বেশি হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আগের চেয়ে বেশি অর্থ ধার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৪ অক্টোবর নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দৈনিক ধারের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ হাজার কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকগুলোর নেয়া ধারের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েছে। গত ২৫ অক্টোবর দেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ ধার নেয় ব্যাংকগুলো। ওই দিন ব্যাংকগুলোর ধারের পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। এরপর প্রতিদিন নেয়া ধারের পরিমাণ ১৪-১৮ হাজার কোটি টাকায় ওঠানামা করছে। সর্বশেষ ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের মধ্যেই চলতি মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরো তেতে উঠেছে। এরই মধ্যে প্রতি কেজি আলুর দাম ৭০ টাকা ছুঁয়েছে। আর কেজিপ্রতি দেশী পেঁয়াজের দাম উঠে গেছে ১৪০ টাকায়। চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ বিপরীতমুখী প্রভাব ফেলছে কিনা, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রথাগত মুদ্রানীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোয় সুদহারসহ অর্থনীতির সব কাঠামোই বাজারভিত্তিক। কিন্তু আমাদের দেশে সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত। উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি প্রায় শতভাগ ব্যাংকনির্ভর। আমাদের অর্থনীতির এখনো ৫০ শতাংশের বেশি ব্যাংকের আওতার বাইরে।’

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনীতির অন্যসব উপাদানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে কেবল সুদহার বাড়ানোর পদক্ষেপ এ দেশে কার্যকর হবে না। বাজারে অর্থের প্রবাহ কমানোর যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে, তাতে এসএমই, কৃষিসহ উৎপাদনশীল খাতই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেসব প্রভাবশালী ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা বের করে নিচ্ছেন, তাদের ওপর মুদ্রানীতির কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং বাজারে পণ্যের সরবরাহ লাইন যাতে ভেঙে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। উৎপাদনশীল খাতগুলোয় অর্থের প্রবাহ নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনে প্রণোদনা দিতে হবে। অন্যথায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতে মূল্যস্ফীতি আরো উস্কে উঠবে।’

সুদহার বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সুদের হার বাড়লে ব্যবসার খরচ বাড়ে। জিনিসপত্রের দামও বাড়ে। মুনাফা করা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের এ চরিত্র বোঝার জন্য অর্থনীতিবিদ হতে হয় না। দেশে ডলারের বিনিময় হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে আমদানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।’

ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে? এমন অভিযোগের বিষয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘অভিযোগ শতভাগ সত্য। বাজারে যখন পণ্যের সরবরাহ কমে যায়, তখনই সিন্ডিকেট করা সহজ। আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে সিন্ডিকেটগুলো আরো শক্তিশালী হয়েছে। দেশের চিনির বাজার ৪-৫ জন ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে গিয়ে এলসি খুলতে পারছেন না। এলসিও এখন সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হককে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Bonik barta

You may also like